সবাইকে স্বাগতম আইটি বার্তা সাইটে ,নতুন নতুন সকল আইটি নিউজ পাবেন এই সাইটে

গুগল এ্যাডসেন্স থেকে বেশি পরিমানে আয়

ইন্টারনেট থেকে আয়ের ইচ্ছা প্রায় সকল ব্রাউজারের মধ্যেই বিদ্যমান আছে। তবে আপনি তুলনামূলক কম পরিশ্রম করে ভাল উপার্জন করা সম্ভব যদি আপনি একজন প্রফেশনাল মানের ওয়েব বা ব্লগ পাবলিশার হতে পারেন। কেননা, অনলাইনে যতগুলো মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায় অনলাইন এ্যাডভারটাইজিং তাদের মধ্যে অন্যতম। আর একজন প্রফেশনাল মানের পাবলিশার হতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু বিষয় জেনে-বুঝে কাজ করতে হবে। আর এ আয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে গুগল এ্যাডসেন্সকে। এখন পর্যন্ত যতগুলো এ্যাডসেন্স কোম্পানি গড়ে উঠেছে, সকল দিক বিবেচনা করলে গুগল এ্যাডসেন্স এর অবস্থান সবার শীর্ষে। এখানে যেমনি কোন অসৎ আচারন সহ্য করা হয় না, তেমনি আপনার উপার্জিত অর্থ পরিশোধের বেলায়ও তারা থাকে বেশ সোচ্চার। অর্থাৎ, অর্থ উপার্জনের পরে অর্থ হাতে পাওয়ার ব্যাপারে কোন প্রকার সন্দেহ নেই।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের প্রডাক্ট বিশ্বব্যাপী মার্কেটিং করার জন্য সবার আগে অগ্রাধিকার দেয় গুগলকে। কেননা তাদের আছে সুবিশাল নেটওয়ার্ক এবং সার্চ ইন্জিনের দিক থেকে বিবেচনা করলে গুগল অপ্রতিদ্বন্দী। এ্যাড কতবার দেখানো হবে, কোন ধরনের সাইটে দেখান হবে ইত্যাদি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে গুগলে এ্যাড দেয়ার জন্য প্রথমে একটি প্রডাক্ট কোম্পানি গুগলকে পে করে থাকে। এক্ষেত্রে একই কী ওয়ার্ডের ওপর বিভিন্ন কোম্পানি কম-বেশি রেটে এ্যাড প্রদান করে থাকে। তাই আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে এ্যাড পাবলিশিং এর ক্ষেত্রে এ্যাডের কোয়ালিটিকে অব্শ্যই বিবেচনা করতে হবে। কেননা, এ্যাডসেন্স থেকে আপনার অতিরিক্ত আয়ের প্রত্যাশা থাকাটাই স্বাভাবিক। তাই আসুন এবার জেনে নেই এডসেন্স থেকে আয়ের কিছু কৌশল বা বিবেচ্য বিষয়সমূহ:
১. গুগল কিভাবে একটি সাইটে এ্যাড দিয়ে থাকে সে বিষয় সম্পর্কে নূন্যতম একটি ধারনা থাকা একজন ওয়েব পাবলিশারের জন্য খুবই জরুরি। গুগল সবসময় আপনার প্রত্যেকটি আর্টিকেলের কীওয়ার্ডকে বিবেচনা করে থাকে। তাই বেশি উপার্জনের ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই আপনাকে মূল্যবান কীওয়ার্ড বেছে নিতে হবে। আর এটি আপনি রিসার্চ করতে পারেন গুগল কীওয়ার্ড টুল এর মাধ্যমে। ধরুন, আপনি যদি একটি গাড়ির মডেল নিয়ে আর্টিকেল পোষ্ট করেন তবে অবশ্যই আপনি একটি গাড়ি কোম্পানির এ্যাড পেতে পারেন। এটিই হচ্ছে কীওয়ার্ড রিলেটেড এ্যাড প্রদর্শন সিষ্টেম।
২. একজন ভাল ব্লগার তার ব্লগে লিখবেন এটা স্বাভাবিক, কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা হল অধিক উপার্জনের জন্য যেকোন কন্টেন্ট না লিখে বিষয়ভিত্তিক কন্টেন্ট লিখতে হবে। সাধারনত প্রডাক্ট এবং সার্ভিস নিয়ে লেখালিখি করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়। কেননা এ ধরনের বিজ্ঞাপনের আউটলুক যেমনি সুন্দর তেমনি এর টাইটেল থাকে অনেক বেশি আকর্ষনীয়।
৪. সত্যি কথা বলতে গুগল এ্যাডসেন্স থেকে আয়ের পূর্ব শর্ত হল সাইটে প্রচুর ভিজিটর থাকতে হবে আর ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য আপনারকে অবশ্যই পেজকে অপটিমাইজ করতে হবে। যার ফলে দিনে দিনে আপনার টপিকসগুলো গুগলের সার্চে চলে আসতে থাকবে।
৫. উপরের বিষয়গুলোর পাশাপাশি দেশ ভেদেও এ্যাড থেকে আয়ের রেট কম-বেশি হয়ে থাকে। ধরুন একটি এ্যাডে যদি কোন বাংলাদেশী ভিজিটর ক্লিক করে থাকে তবে আপনি যতটুকু আয় করবেন তার চেয়ে অনেক বেশি আয় করতে পারবেন এই একটি ক্লিক যদি ইউরোপ কিংবা আমেরিকা থেকে করে। বিষয়টি বেশ স্বাভাবিক যে আমাদের দেশের টাকার মূল্য আর ধনী দেশগুলোর টাকার মূল্য সমান নয়। পাশাপাশি অনলাইন থেকে প্রডাক্ট কেনা-কাটা করার প্রচলন ধনী দেশগুলোতে বেশ সমাদৃত, যা আমাদের দেশে নাই বললেই চলে। অর্থাৎ এ্যাড কোম্পানির প্রত্যাশা পূরন হয়ে থাকে যখন এ্যাডের মাধ্যমে তাদের বিক্রির পরিমান বাড়ে।
৬. একজন ব্লগার নিয়মিত লেখালেখি করে যে পরিমান উপার্জন করে তার চেয়ে অনেক বেশি উপার্জন সম্ভব যদি আপনি প্রডাক্ট কিংবা সার্ভিস এর উপরে অল্প কিছু টপিকস লিখে সেগুলোকে যদি গুগলের সার্চে নিয়ে আসা যায়। এ জন্য আপনাকে অল্প পরিমান টপিকস লিখে সেগুলো সার্চে নিয়ে আসতে বেশি বেশি এসইও এর কাজ করতে হবে। আর্টিকেল লেখার সুবিধার জন্য অবশ্যই আপনি লেখার পূর্বে বিভিন্ন সাইটের প্রডাক্ট রিভিউ পড়ে নিতে পারেন।
Share this article :
 

Post a Comment

Cyber Developer Bangladesh
 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. আই.টি. বার্তা - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Blogger